ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসনামলে বাংলার তৎকালীন গভর্ণর জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিং ১৮২৯ সালে রাজস্ব ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ ও শাসন ব্যবস্থাকে দৃঢীকরণের উদ্দ্যেশে বাংলার কয়েকটি জেলা নিয়ে একটি বিভাগের সৃষ্টি করেন। সে সময় বিভাগীয় প্রধানের পদবী হয় বিভাগীয় কমিশনার (Divisional Commissioner) । একই বছর (১৮২৯) বর্ধমান, প্রেসিডেন্সী, ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের সৃষ্টি হয়।মাঠ প্রশাসন বা স্থানীয় প্রশাসনের গোড়ায় আছে বিভাগীয় প্রশাসন । সমগ্র বাংলাদেশকে বর্তমানে ৮টি প্রশাসনিক বিভাগে ভাগ করা হয়েছে । বিভাগুলো হচ্ছে- ঢাকা, চট্রগাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ । ২০১৫ সালে ময়মনসিংহ বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয় ।
মাঠ পর্যায়ে সর্বোচচ গুরম্নত্বপূর্ণ এবং উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন অফিস হল বিভাগীয় কমিশনার অফিস। এ অফিসকে মাঠ প্রশাসনের সচিবালয়ও বলা হয়ে থাকে। বিভাগীয় কমিশনারের দিকনির্দেশনা ও তত্বাবধানে জেলা প্রশাসকগণ প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। বিভাগীয় কমিশনার বিভাগীয় আইন শৃংখলা কমিটির সভাপতি, বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি, বিভাগের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা, চোরাচালান প্রতিরোধ সংক্রান্ত আঞ্চলিক টস্কফোর্সের সভাপতি, বিভাগীয় বাছাই কমিটির সভাপতি, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি।
ময়মনসিংহ বিভাগের গেজেট ১৩ অক্টোবর ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন শাখা-২ এর প্রজ্ঞাপনে সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী স্বাক্ষরিত এস.আর.ও. নং ৩০৪-আইন/২০১৫ স্বারকে এই গেজেটটি প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব জনাব জি.এম. সালেহ উদ্দিন গত ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যোগদানের মাধ্যমে শুরু হয় ময়মনসিংহ বিভাগের কার্যক্রম। বর্তমানে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের ৩ নং ভবনের দো’তলায় ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারের অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস